Sunday, January 13, 2013

ওয়েব সাইট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর বিস্তারিত ধারনা এবং এর সম্পর্কে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা

আসসলামু আলাইকুম…. সুপ্রিয় আর্নট্রিক্সের বন্ধুগণ এটা আমার জীবনের প্রথম কোন বাংলা ব্লগে লেখা প্রথম পোস্ট কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। আজ থেকে আপনাদের মাঝে অনলাইনে আয় অভিজ্ঞতা নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট শুরু করতে যাচ্ছি। ভালমন্দ বিচারের দায়িত্ব আপনার তবে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না । অনেকেই এই সম্পর্কে জানেন , যারা জানেন না তাদের জন্য আমি এই পোস্টটি শেয়ার করছি। আজকাল অনেকেই উপার্জন এর কথা লিখে থাকে অ্যাফিলিয়েট দিয়ে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট কি এবং কি ভাবে করে সেটাই বলেনা যার কারনে অনেকেই এখনো অজ্ঞ।  প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কেননা ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে…. আসুন তবে শুরু করা যাক।

ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমন অনলাইন মার্কেটিং প্রসেস যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট কোন নামকরা কোম্পানির বিভিন্ন প্রডাক্টস নির্দিস্ট কমিশনের ভিত্তিতে বিক্রয় করে দেয়ার জন্য কাজ করে। এখানে ঐ ওয়েবসাইটটি উক্ত কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস এডস হিসাবে ইউজ করে এবং ভিজিটরদের পণ্য ক্রয় করার জন্য রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রেরন করে। এই রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে কোন পণ্য বিক্রয় করলেই ওয়েবসাইটটি কমিশন পায়।  আর একেই আমরা বলতে পারি এফিলিয়েশন।

আমার অনলাইন গুরু ‘ তাহের চৌধুরী সুমন ’ ভাইয়া অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে বলেন –

“ অনলাইনে আয়ের মাধ্যম গুলোর মধ্যে এক অনন্য ও বিশ্বস্ত নাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। অনলাইন থেকে আয়ের বিভিন্ন ট্রেড গুলোর মধ্যে অন্যতম ই বলবো আমি। এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সাধারণত বিভিন্ন ডিলার/পাইকার ব্যাবসায়ীকে দেখেছি যারা কোন নির্দিস্ট নাম করা কোম্পানির বিভিন্ন প্রডাক্টস কমিশনের (% আকারে) ভিত্তিতে বিক্রি করে দেয়। এইসব ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিক্রয় করে দেয়ার শর্তে ডিলার/পাইকাররা কোম্পানি থেকে নির্দিস্ট মাত্রায় % হারে কমিশন নিয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে ঠিক এমনই একটি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট যারা নিজের ওয়েবসাইটে কোন কোম্পানির বিভিন প্রডাক্টস এডস হিসাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ঐ কোম্পনিকে বিভিন্ন প্রডাক্টস অনলাইনে বিক্রয় করে দেয়ার শর্তে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। এই সাইট থেকে রেফারেল হয়ে যদি কোম্পানির প্রডাক্টস কেউ ক্রয় করে তবে কোম্পানির তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী তাকে % কমিশন দিতে বাধ্য থাকে। আর এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস নিয়ে অফিলিয়েশন করতে দেখা যায় যেমন বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্য দিনের প্রডাক্টস।এটাকে আমরা এমন প্রোগ্রাম বলতে পারি যার প্ররোক্ষ মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাজার পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন ইন্টারনেট মার্কেটিং কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সাথে সাথে উন্মুক্ত করে দিয়েছে অনলাইনে আয়ের বিশাল এক সম্ভাবনাকে “

ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্যঃ বিশ্বে ১৯৯০ সালের দিকে সর্ব প্রথম ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম চালু হয়। এখানে অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম গুলোতে কোন একটি কোম্পানি তার পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক বা ব্যানার আকারে অন্য একটি ওয়েবসাইট এ এডস হিসাবে দিয়ে থাকে। এই ব্যানার এডের মাধ্যমে ঐ কোম্পানির পণ্যের যে পরিমান বিক্রয় হয়, তার ভিত্তিতে কোম্পানি ঐ ওয়েবসাইট কে তাদের নির্দিস্ট হারে কমিশন দিয়ে থাকে। কিন্তু এই কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭৫% Up to হয়। যা আসলেই খুবই ভালো একটা আয় হয়ে দাড়ায়। উদাহরণসরূপঃ clickbank.com যদি কোন ওয়েবসাইটে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে চায়। এখন clickbank.com এর রেফারেল ব্যানার সেই ওয়েবসাইটটি তাদের নিজস্ব পেজে দিল। যদি কোন ভিজিটর clickbank.com এর লিংক বা ব্যানারে ক্লিক করে এবং পণ্য ক্রয় করে তবে  সেক্ষেত্রে clickbank.com তাদের ঐ পণ্য বিক্রয় থেকে উক্ত ওয়েবসাইটটিকে % হারে কমিশন দেবে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অফিলিয়েশন রয়েছে যেমন বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্য দিনের প্রডাক্টস।

আমরা হয়তো জানি যে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশনে বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানিগুলো অনেক বেশি লাভবান হয়। তবে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট তৈরী করতে এবং পরিচালনা করতে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। প্রযুক্তি ও মার্কেট নিয়ে গবেযণকারী প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চ-র মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি। তবে এটাও মানতে হবে যে এখানে হিউজ আয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি মনে করি যে অ্যাফিলিয়েশন বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ে বড় একটা পথ উন্মচন করছে।

এখানে কিছু এ্যাফিলিয়েট সাইট আছে যেখান থেকে আপনি ওদের এফিলিয়েট মেম্বার হিসাবে কাজ করতে পারবেন। আসুন দেখে নেই সাইট গুলো…

    www.Amazn.com
    www.marketbay.com
    www.cj.com
     www.linkshare.com
     www.plimus.com
    www.sellhealth.com

আজ আর নয়। আরও বিস্তারিত লিখবো নেক্সট পোষ্টে। কিভাবে এফিলিয়েশন কাজ টা শুরু করবেন, কিভাবে এ্যাফিলিয়েট সাইট গুলোতে একাউন্ট করবেন, কোন এ্যাফিলিয়েশন করলে ভালো আয় করা যাবে আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষব নিয়ে। আর তাহের চৌধুরী সুমন ভাইয়ের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা তিনি আমাকে তাঁর মুল্যবান সময় দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবাই। কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যের ঘরে জানাবেন

0 comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Followers