This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Sunday, January 13, 2013

ওয়েব সাইট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর বিস্তারিত ধারনা এবং এর সম্পর্কে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা

আসসলামু আলাইকুম…. সুপ্রিয় আর্নট্রিক্সের বন্ধুগণ এটা আমার জীবনের প্রথম কোন বাংলা ব্লগে লেখা প্রথম পোস্ট কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি। আজ থেকে আপনাদের মাঝে অনলাইনে আয় অভিজ্ঞতা নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট শুরু করতে যাচ্ছি। ভালমন্দ বিচারের দায়িত্ব আপনার তবে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না । অনেকেই এই সম্পর্কে জানেন , যারা জানেন না তাদের জন্য আমি এই পোস্টটি শেয়ার করছি। আজকাল অনেকেই উপার্জন এর কথা লিখে থাকে অ্যাফিলিয়েট দিয়ে। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট কি এবং কি ভাবে করে সেটাই বলেনা যার কারনে অনেকেই এখনো অজ্ঞ।  প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কেননা ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে…. আসুন তবে শুরু করা যাক।

ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে এমন অনলাইন মার্কেটিং প্রসেস যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট কোন নামকরা কোম্পানির বিভিন্ন প্রডাক্টস নির্দিস্ট কমিশনের ভিত্তিতে বিক্রয় করে দেয়ার জন্য কাজ করে। এখানে ঐ ওয়েবসাইটটি উক্ত কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস এডস হিসাবে ইউজ করে এবং ভিজিটরদের পণ্য ক্রয় করার জন্য রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রেরন করে। এই রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে কোন পণ্য বিক্রয় করলেই ওয়েবসাইটটি কমিশন পায়।  আর একেই আমরা বলতে পারি এফিলিয়েশন।

আমার অনলাইন গুরু ‘ তাহের চৌধুরী সুমন ’ ভাইয়া অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে বলেন –

“ অনলাইনে আয়ের মাধ্যম গুলোর মধ্যে এক অনন্য ও বিশ্বস্ত নাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। অনলাইন থেকে আয়ের বিভিন্ন ট্রেড গুলোর মধ্যে অন্যতম ই বলবো আমি। এখান থেকে আয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সাধারণত বিভিন্ন ডিলার/পাইকার ব্যাবসায়ীকে দেখেছি যারা কোন নির্দিস্ট নাম করা কোম্পানির বিভিন্ন প্রডাক্টস কমিশনের (% আকারে) ভিত্তিতে বিক্রি করে দেয়। এইসব ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বিক্রয় করে দেয়ার শর্তে ডিলার/পাইকাররা কোম্পানি থেকে নির্দিস্ট মাত্রায় % হারে কমিশন নিয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েশন হচ্ছে ঠিক এমনই একটি প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট যারা নিজের ওয়েবসাইটে কোন কোম্পানির বিভিন প্রডাক্টস এডস হিসাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ঐ কোম্পনিকে বিভিন্ন প্রডাক্টস অনলাইনে বিক্রয় করে দেয়ার শর্তে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। এই সাইট থেকে রেফারেল হয়ে যদি কোম্পানির প্রডাক্টস কেউ ক্রয় করে তবে কোম্পানির তাদের দেয়া শর্ত অনুযায়ী তাকে % কমিশন দিতে বাধ্য থাকে। আর এটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েশন। বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন প্রোডাক্টস নিয়ে অফিলিয়েশন করতে দেখা যায় যেমন বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্য দিনের প্রডাক্টস।এটাকে আমরা এমন প্রোগ্রাম বলতে পারি যার প্ররোক্ষ মাধ্যমে ইন্টারনেটে বাজার পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন ইন্টারনেট মার্কেটিং কে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সাথে সাথে উন্মুক্ত করে দিয়েছে অনলাইনে আয়ের বিশাল এক সম্ভাবনাকে “

ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্যঃ বিশ্বে ১৯৯০ সালের দিকে সর্ব প্রথম ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম চালু হয়। এখানে অ্যাফিলিয়েশন প্রোগ্রাম গুলোতে কোন একটি কোম্পানি তার পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক বা ব্যানার আকারে অন্য একটি ওয়েবসাইট এ এডস হিসাবে দিয়ে থাকে। এই ব্যানার এডের মাধ্যমে ঐ কোম্পানির পণ্যের যে পরিমান বিক্রয় হয়, তার ভিত্তিতে কোম্পানি ঐ ওয়েবসাইট কে তাদের নির্দিস্ট হারে কমিশন দিয়ে থাকে। কিন্তু এই কমিশন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৭৫% Up to হয়। যা আসলেই খুবই ভালো একটা আয় হয়ে দাড়ায়। উদাহরণসরূপঃ clickbank.com যদি কোন ওয়েবসাইটে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে চায়। এখন clickbank.com এর রেফারেল ব্যানার সেই ওয়েবসাইটটি তাদের নিজস্ব পেজে দিল। যদি কোন ভিজিটর clickbank.com এর লিংক বা ব্যানারে ক্লিক করে এবং পণ্য ক্রয় করে তবে  সেক্ষেত্রে clickbank.com তাদের ঐ পণ্য বিক্রয় থেকে উক্ত ওয়েবসাইটটিকে % হারে কমিশন দেবে। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অফিলিয়েশন রয়েছে যেমন বিভিন্ন খেলার লাইভ ওয়াচ, মুভি লাইভ ওয়াচ, কলিং কার্ড, আরও বিভিন্ন নিত্য দিনের প্রডাক্টস।

আমরা হয়তো জানি যে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েশনে বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানিগুলো অনেক বেশি লাভবান হয়। তবে ওয়েবসাইট অ্যাফিলিয়েট তৈরী করতে এবং পরিচালনা করতে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। প্রযুক্তি ও মার্কেট নিয়ে গবেযণকারী প্রতিষ্ঠান ফরেস্টার রিসার্চ-র মতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী অনলাইন মার্কেটিং পদ্ধতি। তবে এটাও মানতে হবে যে এখানে হিউজ আয়ের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি মনে করি যে অ্যাফিলিয়েশন বর্তমান সময়ে অনলাইন আয়ে বড় একটা পথ উন্মচন করছে।

এখানে কিছু এ্যাফিলিয়েট সাইট আছে যেখান থেকে আপনি ওদের এফিলিয়েট মেম্বার হিসাবে কাজ করতে পারবেন। আসুন দেখে নেই সাইট গুলো…

    www.Amazn.com
    www.marketbay.com
    www.cj.com
     www.linkshare.com
     www.plimus.com
    www.sellhealth.com

আজ আর নয়। আরও বিস্তারিত লিখবো নেক্সট পোষ্টে। কিভাবে এফিলিয়েশন কাজ টা শুরু করবেন, কিভাবে এ্যাফিলিয়েট সাইট গুলোতে একাউন্ট করবেন, কোন এ্যাফিলিয়েশন করলে ভালো আয় করা যাবে আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষব নিয়ে। আর তাহের চৌধুরী সুমন ভাইয়ের প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শ্রদ্ধা তিনি আমাকে তাঁর মুল্যবান সময় দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবাই। কোন প্রশ্ন থাকলে মন্তব্যের ঘরে জানাবেন

কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার ১০১ কিলার উপায়

আমরা যখন কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও নিয়ে কথা বলি তখন এটিকে দু’ভাগে ভাগ করে থাকি। এটি হলো অনপেজ ও অফপেজ অপটিমাইজেশন। অফপেজ অপটিমাইজেশনে মূলত ঐ সাইটের ব্যাকলিংক ও সোশ্যাল সিগন্যাল বেশি গুরুত্ব পায়। বিশেষকরে আমরা যখন এসইআরপি র‍্যাংকিং এ ভালো করতে চায় তখন আমাদের বিভিন্ন অথরিটি সাইট থেকে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার দরকার পড়ে। আমরা সার্চ ইঞ্জিন ট্রাফিকের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি। আর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক একটি সাইটের র‍্যাংকি বাড়ানো ও সার্চ ইঞ্জিন  ট্রাফিক বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। আর্নট্রিক্সের পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই পোস্টটিতে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার ১০১টি উপায় সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। আশাকরি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সহায়ক হবে।

Backlink

তবে ১০১টি উপায় বলার আগে আরেকটি কথা না বললেই নয়! আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ২০১২ সালে  গুগলের একটি পেঙ্গুইন আপডেট আনা হয়, সেখানে স্প্যাম ও পেইড ব্যাকলিংককে টার্গেট করা হয়েছে। তাই এ ধরণের ব্যাকলিংক সাইটের র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলবে।

আর হ্যাঁ, আপনি যখন আপনার ব্যাকলিংক তৈরি করবেন, অবশ্যই লিংক কোয়ালিটি ও অ্যাংকর টেক্সট ভেরিয়েশনের দিকে খেয়াল রাখবেন। আপনার হোমপেজে ব্যাংকলিংক তৈরির দিকে বেশি নজর না দিয়ে সাইটের ইন্টারন্যাল পেজের ব্যাকলিংক তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দেবেন। আপনি রিসোর্স পেজ যেমন বিভিন্ন গাইডলাইন মূলক পেজে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি বা দুইটি কিওয়ার্ড সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এই ধরণের পোস্ট বেশি ইফেক্টিভ হয়।

ব্যাকলিংক তৈরির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি এড়িয়ে চলবেন-

    ফুটার থেকে বড় ধরণের লিংক ব্যবহার করবেন না।
    এক্সাক্ট অ্যাংকর টেক্সট কেনা থেকে বিরত থাকবেন।
    বিভিন্ন সাইট থেকে (যেমন ফিভার) বাল্ক লিংক কেনা থেকে বিরত থাকবেন।
    লিংক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন না।
    ব্লগরোল লিংক ব্যবহারে বিরত থাকুন।
    আর্টিকেল ডিরেক্টরি লিংক ব্যবহার ততোটা কার্যকরী নয়, তাই এটি ব্যবহারে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

উপরের বিষয়গুলো মনে রেখে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা শুরু করতে পারেন। তবে একটি কথা না বললেই নয়, গেস্ট পোস্ট ব্যাকলিংক তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি আপনার ওয়েবসাইটে ভালো ট্রাফিক আনতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

doFollow-blog-commenting

এখন আসুন জেনে নিন কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরির ১০১ কিলার  উপায়-
1. অন্যব্লগে গেস্ট পোস্ট করুন।
2. ডুফলো ব্লগে কমেন্ট করুন।
3.  রিলেভ্যান্ট  ফোরামের আলোচনায় অংশ নিন এবং আপনার ব্লগ পোস্টের লিংক ব্যবহার করুন।
4. ফোরাম সিগনেচারে আপনার ব্লগ লিংক যুক্ত করুন (অবশ্যই হাই কোয়ালিটি ফোরামে)।
5. জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন- ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ডিগ সাইটগুলোতে আপনার সাইটের অ্যাক্টিভিটি বাড়ান।
6. বিভিন্ন ডিসকাশন বোর্ড যেমন কিয়োরাতে আপনার ব্লগ লিংক যুক্ত করে ডিসকাশন বাড়ান।
7. ব্লগিং কমিউনিটিতে আপনার সাইটটি যুক্ত করে অ্যাক্টিভিটি বাড়ান। এক্ষেত্রে ব্লগ এনগেজ, এমএমও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক উল্লেখযোগ্য।
8. বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর সাইটে যেমন – ইয়াহু অ্যান্সার এ আপনার সাইট সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন।
9. এসব কোশ্চেন, অ্যান্সার সাইটে বিভিন্ন উত্তর দিন এবং আপনার সাইটের রিলেটেড বিভিন্ন লিংক দিন।
10. আর্টিকেল পাবলিশ করার সময় সাইটের রিলেটেড অন্য পোস্টের সাথে ইন্টারলিংক করুন।
11.  আপনার নিচ রিলেটেড অন্য ব্লগ সাইটের সাথে লিংক এক্সচেঞ্জ করতে পারেন, তবে এটি অবশ্যই যেনো ন্যাচারাল হয় এবং লিংক পিরামিড ফর্ম মেনে করতে হবে।
12. আপনার ব্লগটি টপ ব্লগিং ডিরেক্টরিতে সাবমিট করুন (এখানেও কোয়ালিটি নিশ্চিত হতে হবে)।
13. বিভিন্ন ওয়েব ডিরেক্টরিতে আপনার ব্লগ সাবমিট করুন।
14. টপ নিশ ডিরেক্টরিতে আপনার ব্লগগ সাবমিট করুন।
15. আপনার বন্ধুদেরকে আপনার সাইটে/ সামাজিক যোগাযোগ সাইটের পেজে সংযুক্ত হতে বলেন।
16. ভালোমানের সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইটগুলোতে আপনার ব্লগ পোস্টগুলো সাবমিট করুন।
17. টপ সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটগুলোতে আপনার সাইটটি যুক্ত করুন।
18. আপনার ব্লগ আর্টিকেলগুলো স্টাম্বলআপন এ সাবমিট করুন।
19. ডিগ এ আপনার ব্লগ সাবমিট করুন। এটি ডুফলো লিংক দেয় এবং গুগল ক্রাউলের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
20. টপ সোশ্যাল বুকমাকিং সাইটগুলোতে আপনার ব্লগকে ভাইরাল করুন। কারণ এক একটি অথরিটি সাইট থেকে যে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়া যায় তা হাজারো সাধারণ ব্যাকলিংক থেকে উত্তম।
21.ফিডার সাইটগুলোতে আপনার ব্লগের আরএসএস ফিড যুক্ত করুন।
22. প্রেস রিলিজ সাইটগুলোতে প্রেস রিলিজ সাবমিট করুন।
23. আরএসএস ডিরেক্টরিতে আপনার আরএসএস ফিড সাবমিট করুন।
24. প্রায় প্রতিটি ফোরামেই ওয়েব সাইট রিভিউ ফোরাম আছে, সেখানে আপনার ব্লগের রিভিউ দিন।
25. যদি আপনি থিম ডেভেলপমেন্ট জানেন, তাহলে একটি ফ্রি থিম রিলিজ করুন এবং থিমের ফুটারে আপনার ব্লগ লিংকটি যুক্ত করে দিন। (সম্ভব না হলে দরকার নেই)
26. যদি পারেন তাহলে একটি ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন তৈরি করুন এবং সেখানে আপনার ব্লগ লিংকটি যুক্ত করুন।
27. একটি সফটওয়্যার অথবা ইবুক রিলিজ করুন এবং এটি .exe তে কম্পাইল করে টপ সফটওয়্যার শেয়ারি সাইট যেমন ডাউনলোড ডটকম, ব্রাদারসফট ও সাবমিট করুন।
28. আপনার ব্লগ পোস্টগুলো দিয়ে একটি পিডিএফ বই তৈরি করুন এবং ডকুমেন্ট শেয়ারিং সাইটে সাবমিট করুন।
29. টপ কোম্পানি ও প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ লিখুন, তাহলে তারা আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে পারে।
30. প্রতি সম্পাহে অন্তত একটি পোস্ট পাবলিশ করুন যাতে বিভিন্ন সাইট বা ব্লগারের রিসোর্স থাকে (লিংকসহ) এবং এই পোস্টটি ঐসব ব্লগারদের সাথে শেয়ার করুন। তাহলে তারাও আপনার সম্পর্কে আগ্রহী হবে।
31. টপ ব্লগারদের ইন্টারভিউ পাবলিম করেন এবং সেটি শেয়ার করার অনুরোধ জানান। এতে তাদের ফ্যানরাও আপনার সাইট সম্পর্কে জানতে পারবে।
32. মার্কেটারদের টেস্টিমোনিয়াল দিন এবং সেখানে আপনার ব্লগ লিংক যুক্ত করুন। এরফলে তারাও আপনাকে ব্যাকলিংক দিতে পারে।
33. আপনার ব্লগের প্রমোট করতে ওয়েব ২.০ সাইটগুলোর ব্যবহার করুন।
34. আপনার ব্লগ পোস্ট কার্নিভালস এ সাবমিট করুন।
35. হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখুন এবং এগুলো থেকে স্টং ব্যাকলিংক পাবেন।
36. আলোচিত বা বিতর্কিত বিষয় সম্পর্কে লিখতে চেষ্টা করুন।
37. নিউজ পোস্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করুন এবং এটি সবার আগের পাবলিশ করার চেষ্টা করুন।
38. আপনার ব্লগকে সিএসএস ডিরেক্টরিতে সাবমিট করুন।
39. অন্য ব্লগগুলো আপনার ইন্টারভিউ বা সাক্ষাতকার প্রকাশের চেষ্টা করুন।
40. লিংকনির্ভর পোস্ট লেখার চেষ্টা করুন।
41. টপ লিস্টেড পোস্ট লেখার চেষ্টা করুন কারণ এগুলো সহজেই ভাইরাল হয়।
42. আপনার নিশে কাজ করা ভালো সাইটগুলোর সাথে তুলনামূলক পোস্ট লিখুন।
43. যারা ব্লগিং করতে চায় তাদের নিয়ে একটি ফিচার পোস্ট লিখুন। এগুলোও ভালো লিংক হবে।
44. আপনার নিশে অন্য ব্লগারদের সাথে কনটেন্ট বিনিময় করুন।
45. আপনার সাইটকে ডিমজ সহ অন্য ডিরেক্টরিগুলোতে সাবমিট করুন।
46. আপনার সাইটকে .এডু ও .গভ ফোরাম ও ব্লগে সাবমিট করুন। গুগল এসব সাইটকে অথরিটি সাইট হিসেবে প্রাধান্য দেয়, তাই এগুলো থেকে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।

Edu_Backlinks
47. গুগল গ্রুপ ও ইয়াহু গ্রুপগুলোর মতো জনপ্রিয় গ্রুপগুলো ব্যবহার করুন আপনার সাইটের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে।
48. সম্ভব হলে একটি  উইকিপিডিয়া পেজ খুলুন এবং এখানে আপনার রিসোর্স সেকশনের লিংকগুলো যুক্ত করুন।
49. টোকনোরাতি‘তে আপনার সাইটকে সাবমিট করুন। এটি আপনার ব্লগের র‍্যাংকে করতে বিশেষ গুরুত্ব পালন করে।
50. ‘দ্য আল্টিমেট’ টাইটেলে পোস্ট লিখুন, এগুলোর মাধ্যমে অনেক ব্যাকলিংক পাওয়া যায়।

ডাউনলোড করুন একটি পরিপূর্ণ “ফ্রীলান্সার” টিউটোরিয়াল ই-বুক!

বলা বাহুল্য, ফ্রীলান্সিং করার শুরুর দিকে যতটা কাঠখড় পাড়ি দিতে হয়েছে এবং এখনও দিতে হচ্ছে, তা এখনকার বেশির ভাগ নতুন ছেলে/মেয়ে, যারা এই লাইনে আসছে প্রতিনিয়তই তাদের এমন ধৈর্য্য ধরে কাজ শিখে নিজেকে এগিয়ে যাবার মানুষিকতা নেই। তাই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যেকোন কাজে অজ্ঞতা বশতঃ তাদের থেকে আয় করার আসল ইচ্ছাটাই দূরে চলে যায়। ফলে অনেকেই কম জেনে বা একে বারেই না জেনে এই লাইনে কাজ করতে এসে সফল হতে না পেরে তাদের মূল্যবান প্রতিটি মূহুর্তকে বিলিয়ে দিচ্ছে।

একটি কথা যারা আসলেই অনলাইনে আয় করছেন তাদের প্রতিটি মানুষের সফলতার পিছনে অনেক সময়, শ্রম এবং অধ্যাবসায় এবং চরম শিখার মানুষিকতাই তাদেরকে সাফল্যের দাঁড়প্রান্তে পৌছাতে সহায়তা করেছে। তাই এখনও যারা শিখার মানুষিকতা ছাড়া ইন্টারনেটে আয় করার স্বপ্নে বিভোর তারা এমন অর্থহীন স্বপ্নগুলোকে দূর করুন এবং সময় ব্যয় করে পুঙ্খানুপুঙ্খ কাজ শিখতে শুরু করুন।

অনেকেই আছে কাজ জানেন কিন্তু কিভাবে ফ্রীলান্সিং সাইটগুলোতে কাজের জন্য আবেদন করবেন তা জানেন না বা আপনার আশে পাশের এমন কেউই নেই যাদের থেকে আপনি সাহায্য সহায়তা নিবেন। আবার এমনও আছেন হাজার হাজার টাকা খরচ করেও শিখতে পারে নাই আসলেই কিভাবে এই সাইটগুলোতে কাজ করতে হয়। না পারার কারন হিসেবে বলবো আপনি প্রোফেশনালী কাজগুলো দেখায় নেবার মত এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে পান নাই যারা আপনাকে হাতে কলমে এই কাজ গুলো শিখায় দিবে। তাই নিজের পিছনের সময়গুলোর কথা চিন্তা করে এবং অন্যরা যেন সহজেই কাজে নামতে পারে এই প্রয়াস নিয়ে সবার জন্য মাতৃভাষায় চিত্রভিক্তিক পূর্ণাঙ্গ ফ্রীলান্সিং গাইড “ফ্রীলান্সার” টিউটোরিয়াল প্রকাশ করছি।

নিজে কাজ করে বাস্তবিকতার আলোকে লিখা এই পিডিএফ বইটি পড়ে এবং শিখে যদি একজন-ও সফলতা অর্জন করতে পারে, তবেই আমার লিখার স্বার্থকতা।
পিডিএফ বইটির টিউটোরিয়াল সূচীপত্রঃ
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে ব্যবহারকারী নিবন্ধন এবং প্রোফাইল সাজাবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ২

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে ফ্রীলান্সারে প্রোজেক্ট বিড করবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৩

বিষয়বস্তুঃ ফ্রীলান্সার এর সবগুলো মেন্যু পরিচিতি।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৪

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে প্রোজেক্ট জয়লাভ করতে পারবেন
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৫

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে মানিবুকার্স দিয়ে টাকা উত্তোলন পদ্ধতি।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৬

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে মানিবুকার্স থেকে ফ্রীলান্সার একাউন্টে ডলার ডিপোজিট/জমা করবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৭

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে ফ্রীলান্সারে বায়ার হবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৮

বিষয়বস্তুঃ যেভবে প্রোভাইডার/ওয়ার্কারকে মাইলস্টোন পেমেন্ট দিবেন এবং তা কাজ শেষে রিলিজ করবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ৯

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে বায়ার এবং প্রোভাইডার/ওয়ার্কারকে ফিডব্যাক/রিভিউ দিবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১০

বিষয়বস্তুঃ যেভাবে নিচের কাজের মূল্য এবং চাহিদা ঠিক রেখে বায়ারের কাজ করবেন।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস “ফ্রীল্যান্সার” – টিউটোরিয়ালঃ পর্ব ১১

বিষয়বস্তুঃ নতুন ফ্রীলান্সারদের সচারচর জিজ্ঞাসা প্রশ্ন (সজিপ্র) এবং তার উত্তর।

বইটির সকল সর্বস্বত্ত্ব বিজ্ঞানপ্রযুক্তি ব্লগের। ২০১১-তে যখন লিখতে শুরু করি তখন আর এখনের ফ্রীলান্সার সাইটের ইন্টারফেসগত কিছু পরিবর্তণ এসেছে। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো মিল নাও থাকতে পারে। তারপরেও চেষ্ঠা করেছি নতুন ফিচারগুলোকে সংযুক্ত কর বার। সাথে বানানগত যেকোন ভুল থাকলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে বাধিত করবেন। বইটি নিয়ে সামনে আরো কাজ করবার ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু তা পাঠকগণের চাহিদা এবং আগ্রহের উপরে নির্ভর করবে পরবতীর্তে ই-বুকটি আপডেট হবে কিনা। বিশেষ দ্রষ্ঠব্যঃ বইটি সবা্র জন্য উম্মুক্ত এবং বিনামূল্যে বিতরনের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছে। কেউ নিজের স্বার্থান্বষে পিডিএফ বইটি কারও নিকট হস্তান্তর করতে বিনিময়ে অর্থ বা অন্য কিছু দাবি কবার মত নোংরামি করবেন না।


DOWNLOAD

পিসিতে বসে ক্লিক করতে জানলেই আপনি হয়ে যাবেন একজন ফ্রিল্যান্সার

কেমন আছেন আপনারা ? আশা করি ভালো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। অনেক দিন পর ইটিতে লিখতে বসলাম। কাজের চাপ আর বিশেষ কিছু কারনে নিয়মিত লিখতে পারছিনা। শেষ কবে লিখেছি মনে নাই। প্রফেশনাল ব্লগিং এর ব্যাপারে যে চেইন টিউন শুরু করেছিলাম তাও শেষ করতে পারলাম না। তবে আবারো খুব শীঘ্রয়ই শুরু করার ইচ্ছা আছে। যাই হোক চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।

মনে পরে না আপনাদের সেই দিনের কথা গুলো – মূল কথায় আসিঃ

আসলে এমনিতেই আমাদের দেশে ইন্টারনেট ইউজার তুলনা মূলক কম আর যারাই নেট ইউজ করছে তাঁরা শুরুটা করছে ফেসবুক/মেসেঞ্জারে সময় দিয়ে। হঠাৎ যখন শুনেছে যে ইন্টারনেটে টাকা আয় করা যায়, আর যাচাই বাছাই না করেই কিছু লোকের অপপ্রচারণায় নেমে পড়ছে পিটিসি কিংবা এমএলএম এর মতো ‘হায় হায়’ কোম্পানিতে। আমাদের দেশের মানুষ বোকা কিনা জানিনা তবে তারা ঠকেও শেখে না ! কত কোম্পানী এল গেল, টাকার লোভে তাদের পাতা ফাঁদে পা দিল মানুষ। শেষে সর্বশান্ত হয়ে তবে সবার জ্ঞান ফেরে। একটা সময় ছিল যখন বিদেশী (বিশেষত ভারতীয়) কিছু কোম্পানী ও তাদের এদেশীয় এজেন্টরা প্রচার শুরু করল সারা বিশ্বে বছরে লক্ষ লক্ষ প্রোগ্রামার প্রয়োজন। হতাশ বেকার যুবকদের তারা টার্গেট করল। হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ওখানে ভর্তি হল লক্ষ তরুন তরুনী। প্রোগ্রামার কয়জন হয়েছে? কয়জনইবা ঠিক মত কম্পিউটার চালাতে পারে? কিন্তু বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে বেকার যুবকদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে তারা সরে পড়ল। কোথায় আজ কোথায় আজ সাইটটক, স্পিক এশীয়া এবং ইউনি পে টু ইউ ? আর তাদের এমএলএম বিজিনেস ??
শুরু হওয়া ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লব এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিঃ

কয়েক বছর যাবৎ বাংলাদেশে শুরু হয়েছে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লব, কাজ জানা কর্মঠ ছেলেরা এই ক্ষেত্রকে করে তুলেছে সম্ভাবনাময়। আর এর পিছনে লেগে পরেছে ঠিক ঐ ধরনের কিছু সার্থন্যেশি মহল যারা হাতিয়ে নিতে চায় সাধারনের সর্বোস্য – এবারো টার্গেট বেকার যুব সম্প্রদায়। সবাই কাজ না শিখে টাকা আয় করতে চায়, কোম্পানীগুলোও সেই স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু ব্যাপারটা যদি এত সহজ হত তবে কেউ বেকার থাকত না। অনলাইনে প্রচুর ফ্রিল্যানসি কাজ আছে, কিন্তু সেটা অনেক পরিশ্রম করে, প্রতিযোগীতা করে পেতে হয়। www.odesk.com, www.freelancer.com, www.vworker.com, www.elance.com এমন আরো অনেক সুপ্রতিষ্ঠিত অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে কাজ পাওয়া যায় এবং প্রায় সবখানেই ফ্রি মেম্বারশীপ পাওয়া যায়।বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে ডুল্যান্সার বা স্কাইল্যান্সারের মতো ওয়েবসাইট আমাদের দেশের সহজ সরল মানুষের মেধা গুলোকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় সময়টাকে উপযুক্ত ব্যবহার না করে কিছু এমএলএম আর পিটিসি সাইটের পিছনে নিজেদের মননশীলতা বিকিয়ে দিচ্ছে তরুণরা।
হায়রে প্রতারক পিটিসি… ক্লিক করেই  ফ্রিল্যান্সার !

অথচ আমাদের দেশের কিছু কুলংগার দেশের বেকারদের বেকারত্বের এই সুযোগ নিয়ে আবার কোটি কোটি টাকা তুলে নিতে চাচ্ছে। এবারে প্রত্যক্ষভাবে সজোরে সামনে নিয়ে এসেছে কিছু সাইটকে। উঠে পরে লেগেছে এর প্রচারাভিযানে। কয়েকটা পত্রিকাতে টাকা দিয়ে রিভিঊ ছেপে সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই সাইটটি সম্পূর্ণরুপে ভুয়া একটি সাইট যারা নিজেদের গায়ে ফ্রিল্যান্সিং টাইটেল লাগিয়ে ছেলেপেলেদের ভুলপথে পরিচালিত করছে। চাইছে ডেস্টিনির মত নেটওয়ার্ক বিস্তার করতে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এদের হাজারো অনুসারী হয়ে গেছে। ১০০ ডলার বা ৭০০০ টাকার (কনভার্সান রেটটাও তারা কমিয়ে দিয়েছে) বিনিময়ে সেখানে সদস্য হতে হয়।
এখনি প্রয়োজন সতর্কতা, কর্মমুখী কিছু শিখুনঃ

এসব সাইট আমাদের মেধাগুলোকে অলস করে দিচ্ছে। নিজে কিছু করার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করছে এবং প্রোডাক্টিভিটি কমিয়ে দিচ্ছে। সামান্য কিছু টাকার নেশায় অনেকে মূল্যবান সময় নষ্ট করছে কিন্তু কিছুই শিখছে না। ইন্টারনেট একটা বিশাল প্লাটফর্ম যেখানে কিছু করে দেখানোর অনেক অনেক সুযোগ রয়েছে। যদি টাকা ইনকাম ই যদি সব হয়ে থাকে তবে ‘পতিতা দিয়ে ব্যবসা করেও বা ভিক্ষা করেও টাকা পাওয়া যায়। এবং অনেকে করেও। কিন্তু সবাই ভিক্ষা কিংবা পতিতা ব্যবসা কেন করে না ? আসলে দরকার সঠিক গাইড লাইন। নতুনরা অনলাইন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলোতে নিজেদের ভালো অবস্থান তখনি তৈরি করতে পারবে যখন তাঁরা ভালো গাইডলাইন আর ভালো শিক্ষা পাবে, এ জন্য আমি বলবো যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে। ক্লিক করেই টাকা ইনকাম করা যায় এমন ধারনা পাল্টাতে হবে, কর্মমুখী কিছু শিখুন যা ভবিষ্যতে অনেক অনেক কাজে আসবে।

আমি বলবো যাদের সত্যিকারেই ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ব্লগিং করছে এবং অভিজ্ঞ তাদের শরণাপন্ন হোন, কিংবা কোন সুনাম ধন্য আইটি ফার্ম বা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন-ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, গেম ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অথবা অন্য কোন অনলাইন মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি হাতে কলমে শিখে নিন।
পদে পদে মানুষের উল্টা পাল্টা কথা শুনবেন তাই বলে কি চুপ করে থাকবেন ?

সতর্ক করুন আপনার ভাইকে, আপনার বোনকে, প্রতিবেশীকে, বন্ধুকে। যে এই সমস্ত সাইটের সদস্য হওয়ার বাজে প্রস্তাব নিয়ে আসবে তাকে বর্জন করুন। আমাদের মেধা গুলোকে এভাবে ঝরে পড়তে দিয়েন না। আসুন সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, পথহীনদের সতঁর্ক করি কারন এরা তঁ অবুঝ জানে না কোনটা সঠিক কোন টা ভুল আর কোনটা লাইফ চেঞ্জ করে দিতে সক্ষম। প্লিজ সবাই সোচ্চার হোন, আপনার পাশের একটা ছেলেও যেন আর প্রতারিত না হয়, সময় অপচয় করে নিজের মেধাটাকে বিকিয়ে না দেয় ! লেখাটির লিংক শেয়ার করে দিন ফেসবুক ও অন্য সবখানে। পদে পদে হুমকি আর মানুষের উল্টা পাল্টা কথা আপনাকে শুনতে হবে তাই বলে কি পিছিয়ে আর চুপ করে থাকবেন ? না এমন টা কখনোই কাম্য নয়। আপনার উপযুক্ত যুক্তি গুলো দিয়ে হলেও তাদের কিছু বলুন…
ক্লিক করা এমএলএম বেসড ফেকল্যান্সার সাইটের ল্যান্সারদের বলছি…

ভাই ইনকাম করতে পারলে অসুবিধা নাই, করেন আপনারা। বাঙালি জাতির হুস একটু পড়েই হয়। কিন্তু কথা হচ্ছে নিজেকে ফ্রিল্যান্সার ভাইবা ভুল করিয়েন না। ক্লিক করবেন করেই কি ফ্রিল্যান্সার হয়ে গেছেন ! আর অরিজিনাল ফ্রিল্যান্সাররা সারা জীবন খাইটাও না হয় না। আপনাদের কাছে আমার খুব সহজ কিছু প্রশ্ন… ভাই আপনাদের কি মনে হয় না আপনার মেধাটাকে ঐ সাইটগুলো অলস করে দিয়ে কিছু শেখার বা নিজে কিছু করার ব্যাপারে অনুতসাহিত করছে ? আমাদের নিজেদের প্রডাক্টীভিটি কমিয়ে দিচ্ছে ? তবে শুনেন সামান্য কিছু টাকার নেশায় আমরা আমাদের মুল্যবান সময় নষ্ট করে কিছু ই শিখছি না, কিন্তু কর্মমুখি কিছু জানা থাকলে এর চেয়েও বেশি ইনকাম করা সহজ ত। ভাই শেষে একটা কথা বলেতেই হয় “ ঘুমন্ত মানুষ জাগানো যায় কিন্তু ঘুমের ভান করে থাকা মানুষকে জাগানো যায় না”।

এডসেন্স নেই তাতে কি!! এর বিকল্প তো রয়েছে

এডসেন্স নেই তাতে কি!! এর বিকল্প তো রয়েছে

সবাইকে সালাম আর শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করলাম। আজ আর অযথা কথা না বলে আমি আমার আজকের লেখা উপস্থাপন করছি-

আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি আমাদের কাছে একটা প্রশ্ন খুব বেশি আসে সেটা হল “ভাই কিভাবে এডসেন্স এর একাউন্ট পেতে পারি?” এডসেন্স একাউন্ট পাবার কিছু টিপস্‌

আমার কথা হল এডসেন্স-ই কি সব? আমি জানি এবং স্বীকার-ও করি এড কোম্পানি গুলোর ভিতর এডসেন্স-ই সেরা। কিন্তু কথা হল এডসেন্স পান নি বলে কি আপনি আপনার ব্লগিং থেকে পিছিয়ে পড়বেন বা ছেড়ে দিবেন? আমি বলব না, আপনারা হয়তবা যানেন অনেক ভাল ভাল ওয়েব সাইট আছে যারা নাকি এডসেন্স ইউজ করেনা। তারা এডসেন্স এর বিকল্প বিভিন্ন কোম্পানির এডস্‌ ইউজ করে।

যেহেতু এডসেন্স আমাদের এই সাউথ এশিয়ান লোকদের একাউন্ট কম দিচ্ছে, তাই এডসেন্স পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কঠোর প্ররিশ্রম করতে হবে। খুব ভাল মানের সাইট না হলে এডসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। ইদানিং আবার এডসেন্স এর একাউন্টের জন্য নতুন আবদার টপ লেভেল ডোমিন। ইন্ডিয়া আর চায়নাতে তো সাইটের বয়স ৬ মাস না হলে এডসেন্স এ এপ্লাই-ই করা যায় না। তবে এ থেকে বুঝা যায় যে খুব ভাল মানের সাইট না হলে এডসেন্স পাওয়া যাবে না। ভাল মানের সাইট বলতে আমি বুঝাচ্ছি ইউনিক বা বিরল কন্টেন্ট এর সাইটকে।

যেহেতু আপনার এখন এডসেন্স নাই, তাই আমি বলব এখন কিছু ইউনিক সাইট বানান এডসেন্স এর আবেদন এর জন্য। আর কিছু কমার্সিয়াল সাইট বানান যে গুলোতে অনান্য এডস্‌ ইউজ করে নিজের পকেট খরচ আর নেট বিল টা যাতে চালাতে পারেন।

এডসেন্স এর বিকল্প এডস্‌ কোম্পানির গুলোর ভিতর যেগুলো নামকরা সেগুলো হল

১. ক্লিকসোর্সঃ এডব্রাইট ও বিডব্রাইট থেকে আমি ক্লিকসোর্স কে বেশি ভাল বলব কারন এডব্রাইট ও বিডব্রাইট এর মত ক্লিকসোর্সের কোন সমস্যা নাই। তা ছাড়া ক্লিকসোর্সের টেক্স লিংক এডস্‌ ও আছে আর আছে পপআব এডস্‌। ক্লিকসোর্স পেমেন্ট দেয় পেপাল, ব্যাংক ওয়ার ও চেক এ । পেপাল এ ৫০ ডলার হলেই পেমেন্ট পাবেন। চেকে পেতে হলে ৫০ ডলার লাগবে। আর ব্যাংক ওয়ার এ পেমেন্ট আনতে হলে ১০০০ ডলার হতে হবে।

২. এডব্রাইটঃ প্রধান সমস্যা- ওদের কম্পানির এডস্‌ অনেক কম, তাই সাইট বেশীর ভাগ সময়-ই এড এর জায়গাটি খালি থাকে। এরা পেমেন্ট চেকে এ দেয়।

৩. বিড ভারটাইজারঃ বিড ভারটাইজার এড ব্রাইট থেকে বেশ ভাল। বিড ভারটাইজার পেমেন্ট দেয় পেপাল আর চেক এ। পেপাল এ ১০ ডলার হলেই পেমেন্ট পাবেন। আর চেকে আনতে হলে ৫০ ডলার হতে হবে। সুতরাং বিড ভারটাইজার ইউজ করে দেখতে পারেন।

৪. ইনফলিংকসঃ টেক্স লিংক এডস্‌ হিসাবে বেশ সুনাম আছে এর। ইনফলিংকস্‌ পেমেন্ট দেয় পেপাল ও চেক এ । পেপাল এ ৫০ ডলার হলেই পেমেন্ট পাবেন। আর চেকে পেতে হলে ৪০০ ডলার লাগবে।

(বিঃদ্রঃ যাদের এডসেন্স আছে তারাও এডসেন্স এর পাশা পাশি উপরের উল্লেখিত এডস্‌আপনি আপনার সাইটে ইউজ করতে পারবেন। শুধু মাত্র ক্লিকসোর্স বাদে)

আপনি যত দিন এডসেন্স এর একাউন্ট না পাচ্ছেন, তত দিন এডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে উপরোক্ত এডস্‌ ইউজ করে আয় করতে পারেন।

কিভাবে করবেন ফোরাম পোস্টিং

ফোরাম হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে একটা নির্দিস্ট বিষয়ের উপর রেজিস্টার ইউজাররা সবাই ওটা এবং ওটার বিভিন্ন সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে পারে। ব্যকলিংক এর জন্য ফোরাম কমেন্টিং বা প্রফাইল লিঙ্কিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। Dofollow ব্যাকলিংক পেতে ফোরাম সাইট গুলো অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর আপনি আপনার সাইটের ব্যাকলিংক পেতে পারেন ফোরাম গুলোতে পোস্ট করার মাধ্যমে, এমন কি সিগন্যাচার এবং কমেন্ট এর মাধ্যমেও। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ওডেস্ক এবং ফ্রিল্যান্সার সাইট গুলোতে প্রফাইল লিংকিং বা ফোরাম পোস্টিং এর অনেক কাজ পাওয়া যায়। এছাড়া আপনার ব্লগের জন্য ডুফলো ব্যাকলিংক পেতে এর জুড়ি নেই। আজ আমরা ভিডিও টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে দেখবো কিভাবে ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করার পাশাপাশি সিগন্যাচার ইউজ করতে হয় এবং অবশেষে আমরা দেখবো কি ভাবে ফোরামে পোস্টিং করতে হয়।

আসুন আমরা শুরুতেই দেখে নেই কিভাবে ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করার পাশাপাশি সিগন্যাচার ইউজ করতে হয়। তার আগে একটা কথা বলে নেই প্রোফাইল সেটিং এর সময় হোম পেজ মানে আপনার সাইটের নাম দেওয়া এর অপশন আছে। এইখানে আপনার ব্লগ বা ওয়েব সাইটের url বসিয়রামের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার প্রফাইলে আপনার লিংকগুলো শেয়ার করার জন্য সিগন্যাচার নামে একটা অপশন পাবেন, এটাই মুখ্য একটা ব্যাপার ফোরামের। আপনার প্রফাইল এর ইডিট প্রফাইল অপশনে যান ওখানে সিগন্যাচার অপশন পাবেন, ওটাতে ক্লিক করুন। ওখানে আপনার সাইটের মূল একটা কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে ওটার উপর এঙ্করটেক্সট এর বিবি কোড দিয়ে/এইছটিএমএল কোড দিয়ে (ফোরাম যেটাকে সাপোর্ট করে) লিংক করে দিন। এবং সেভ করুন। আসুন ভিডিওটি সহজ হয়ে যাবে তবে…

কিভাবে ফোরামে রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং সিগন্যাচার ব্যাবহার করবেন

কিভাবে ফোরামে পোস্টিং করবেন

 অবশ্যই ফোরাম কমেন্টিং এর জন্য বিশেষ যে ব্যাপারটা খেয়াল করতে হবে তা হচ্ছে রেজিস্টার মেম্বার হয়েই কমেন্টে এ লিংক প্রদান কার যাবে না, মাঝে মাঝে প্রফাইল ভারি করে নিতে হয় তারপর করা যায় (না হয় ব্যান করবে)। কিছু কিছু ফোরামে সিগন্যাচারে ছাড়া লিংক প্রদান কড়াই যায় না। এটা নির্ভর করবে ফোরামে নীতিমালার উপর। আর একটা কথা কমেন্ট বা পোষ্টে অপ্রাসঙ্গিক কোন কিছু লিখবেন না। এই জন্য আমার সাজেশন হচ্ছে আপনারা ফোরামে সিগন্যচার ইউজ করুন, এতে করে আপনি কমেন্ট বা থ্রেড যাই ই করেন না কেন আপনার লিংক এংকার এর সাহায্যে প্রকাশ করতে পারবেন। আর মনে রাখতে হবে প্রফাইল লিংকিং অনেক বড় একটা ব্যাপার SEO তে। আশা করি ভিডিও টিউতোরিয়াল গুলো আপনাদের উপকারে আসবে। সুতরাং বুঝে শুনে ব্লগ এবং ফোরাম ইউজ করুন। ধন্যবাদ।

 

এবার আয় করুন দেশী ফ্রিলান্স সাইট থেকে

অনেকেই মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে থাকে যে, আমাদের দেশী কোন সাইট আছে কিনা যেখানে থেকে আয় করতে পারবেন তারা। আসলে এই কথাটি ৯০% নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝেই লক্ষ করা যায়। যারা ইন্টারনেট কিছুদিন হল ব্যবহার করছেন, তারা আয় নামের এই সোনার হরিণটার পিছনে প্রথম থেকেই ছুটতে এসেই এই কথাগুলো বলে থাকেন। আসলে বলবেই না কেন, নেট এর পিছনে তারা যুক্ত হচ্ছে, ‘ইন্টারনেটে টাকা উড়ে’, “ক্লিক করুন আর আয় করুন”, এমন আরো সব কথা এরওর মুখে শুনে শুনে। তাই নেটের সাথে যুক্ত হবার সাথে সাথেই আয় করার প্রবনতা তাদের মাঝে চলে আসে। এক্ষেত্রে ভুল নির্দেশনার অভাবে বেশির ভাগই প্রতারনার শিকার হয়ে। আয় নামক হরিণ টিকে শুধু স্বপ্নেই দেখে। বাস্তবিকতা কতজনের ভাগ্যে জুটে?

যাক, যারা নতুন নেটের সাথে যুক্ত হয়েই আয় করতে ইচ্ছুক হন তাদের জন্য সুসংবাদই বলবো যে, বড় বড় সাইট থেকে কাজ পেতে যেমনটা ঝামেলা এবং অভিজ্ঞতা ও ঝুকি ছাড়া নতুনদের কাছে অনেকটা স্বপ্ন, তাদের জন্য আমাদের দেশে তৈরী ফ্রিলান্স সাইট http://www.deshiworker.com/. একই সাথে বাংলা এবং ইংরেজী ভাষায় সাইটি ব্যবহার করতে পারবেন। আর যারা ইংরেজীতে দূর্বল, আমি বলবো তাদের জন্য একটি মাইলফলক বটে। তারা সাইট এর কর্তৃপক্ষকে অন্তত একবার ধন্যযোগ জানাতে ভুলবনে না কিন্তু। ;)

এই সাইটটিকে কেউ মাইক্রোওয়ার্কার্স রিলেটিড সাইট বলে ভুল করবেন না কিন্তু। কারন, মাইক্রোওয়ার্কার্স রিলেটিড সাইট গুলোতে আপনি বিড না করেই যেকোন কাজ আপনার যোগ্যতা মাফিক করতে পারবেন। কিন্তু, এই সাইটে আপনাকে অন্যান্য বড় বড় ফ্রিলান্স সাইটের মত অন্যদের সাথে বিডিং প্রতিযোগীতা করে প্রোজেক্ট জয় লাভ করতে হবে। এবার হয়তো ভাবছেন, আপনি নতুন আপনি আবার এতা লোকের মাঝে কিভাবে কি করবেন। এখানে একটি কথা বলে রাখি, যদি আপনি ১০০% মনোস্থির থাকেন যে আয় করবেন, তাহলে কি পরিমান এবং কোন বিষযে কাজ করে আয় করবেন সেটিতে পারদর্শীতা অজর্ন করেন তারপর আয় করবেন বলে চিল্লাচিল্লি করবেন। তা নাহলে অযাথা নিজের এবং অন্যকে প্রশ্ন করে সময় নষ্ট করবেন না। কারন, এই ভার্চুয়াল বিশ্বে অকর্মাদের কোন দাম নাই। :D

অনেক কথা বলে ফেললাম। এবার আসি মূল কথায়। সাইটে থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করে টাকা তোলার তিনটি পদ্ধতি আছে নিম্নরূপ:

১. Bank Transfer: সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা। Dutch Bangla Bank, Islami Bank এবং Brac Bank এর মাধমে টাকা তুলতে পারবেন।
২. Cash: সর্বনিম্ন ১০০ টাকা।
৩. Mobile Topup: সর্বনিম্ন ১০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা।

কাজ করার নিয়ম তেমন কঠিন না। আর সাইটটি যেহেতু বাংলায় তাই কিভাবে কাজ করতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত লিখলাম না। নিজরোই একটু চেষ্টা করলেই কাজ করতে ও বুঝতে পারবেন। একান্তই বুঝতে সমস্যা হলে মন্তব্যে আকারে জানাতে বুলবেন না।

তো শুরু করে দিন দেশী সাইইটে আপনার ফিলান্সিং

ক্যারিয়ার হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় কাজের ক্ষেত্র এখন বিশ্বব্যাপি। ঘরে বসেই কম্পিউটারের মাউস আর কিবোর্ডের সমন্বয়ে অর্জিত বৈদেশিক ডলারে স্বাবলম্বি হচ্ছেন অনেকেই। অনলাইনে আয়ের এমনই একটি মাধ্যম হলো এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সময়ের পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যথার্থই বটে। যারা পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বেছে নিতে চান তাদের জন্যই এ লেখা। সম্প্রতি দৈনিক সমকালে আমার এ লেখাটি প্রকাশিত হয়। সেটি আর্নট্রিক্সের পাঠকদের জন্য এখানে প্রকাশ করা হলো।

কম্পিউটার ইন্টারনেটের এই যুগে প্রথাগত চাকরির ধরণ পাল্টে যাচ্ছে! ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিসগুলো হবে ভার্চুয়াল অফিস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘরে বসেই প্রতিষ্ঠানটির সকল এমপ্লয়ি অফিসের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করবেন। এই পরিবর্তণের ছোয়া লেগেছে বেশ আগেই। সময়ের পরিবর্তনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমগুলো। আয়ের এই মাধ্যমকে অনেকেই পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। আয়ের এমনই একটি মাধ্যম এসইও অর্থ্যাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সময় এবং কাজের ধরনের এই পরিবর্তনে যুগোপযোগি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার বলা হয়। বাংলাদেশেই হাজার হাজার তরুণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার প্রতি মাসেই শত শত ডলার আয় করছে। ইন্টারনেটে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ওডেক্স, ফ্রিল্যান্সারসহ জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারদের বেশ জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বেছে নেওয়ার বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

seo carrier

এসইও কি?

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো মূলত সার্চ ইঞ্জিনকে নিয়ে কাজ করা বা অনলাইন মার্কেটিং করা। বিষয়টি একটু বিষদভাবে বলা প্রয়োজন। যখন কোনো বিষয়ে গুগলে সার্চ করা হয় তখন সে বিষয়ে হাজার হাজার ওয়েবসাইটের ঠিকানা আসে। প্রথম পেজে ১০টি ওয়েবসাইটের ঠিকানা আসে। এখন ধরুন আপনার একটি ওয়েব সার্ভিস প্রতিষ্ঠান আছে। অনলাইনে প্রচারনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির একটি ওয়েবসাইটও আছে। এখন কেউ যদি ওয়েব সার্ভিস লিখে গুগলে সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আনার জন্য আপনাকে ব্যাকএন্ডে যা করতে হবে সেটিই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এককথায় সার্চ ইঞ্জিনে কোনো ওয়েবসাইটের প্রথম অবস্থানে আনার জন্য যা করা লাগে সেটাই সার্চ ইঞ্জিন। নতুন কোনো সাইটে ভিজিটর আনার  উপায় হলো এসইও। এসইও প্রধানত দু’প্রকার। একটি হলো অনপেজ অপটিমাইজেশন, অপরটি অফপেজ অপটিমাইজেশন।

এসইও তে যা করতে হয়
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিভিন্নভাবে করা যায়। প্রথমত আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের সঙ্গে মিল রেখে উপযুক্ত কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। সব ধরনের সার্চ ইঞ্জিনে সাইটকে সাবমিট করা। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ইউআরএল ব্যবহার, সঠিক হেডিংয়ের ব্যবহার, ওয়েব ডিরেক্টরিগুলোতে সাইট সাবমিট করা, ম্যাস মেইলিং প্রসেস, ব্যাকলিংক তৈরি করা, উন্নত ও ইউনিক কনটেন্ট তৈরি করা, alt এট্রিবিউটের ব্যবহার, robot.txt-এর ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ সাইটে শেয়ারিং, ডেসক্রিপশন ট্যাগ, মেটা ট্যাগ, এক্সএমএল সাইটম্যাপ তৈরি, ফোরাম পোস্টিং, আর্টিকেল সাবমিটিং, লিংকহুইল ইত্যাদি কাজ করতে  হবে। এগুলো সবকিছুই আপনি যে সাইট নিয়ে কাজ করছেন গুগলে র‌্যাংকিংয়ে তার ভালো পজিশনে বা প্রথম দিকে আনার ক্ষেত্রে কাজ করবে।

what is seo

কেন শিখবেন এসইও?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন [এসইও] সময়ের আলোচিত একটি পেশা। যারা ওয়েব উদ্যোক্তা বা ওয়েবমাস্টার হতে চান তাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা অবশ্যই জরুরি। এছাড়া যারা সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তারাও এসইও শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে শত শত ডলার আয় করতে পারেন। বিশেষ করে যাদের কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান আছে এবং ইংরেজিতে লেখালেখি করতে পারেন তারা এই পেশাকে বেছে নিতে পারেন অনায়াশেই। অনলাইন মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক.কম বা ফ্রিল্যান্সার.কমসহ জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রতি মুহূর্তে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়ক শত শত প্রজেক্ট জমা হয়। বাংলাদেশি শত শত ফ্রিল্যান্সার এসব কাজ করে শত থেকে হাজার হাজার ডলার আয় করে থাকেন। অল্প সময়ে কাজ করে প্রচুর টাকা আয়ের অন্যতম উপায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আপনি যদি নিজের সাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করেন তাহলে এর মাধ্যমে অধিক পরিমানে ভিজিটর পাবেন। যেহেতু ভিজিটর = টাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেহেতু যতো ভিজিটর আসবে আপনার ব্যবাসয়িক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অধিক ভিজিটরের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি, অ্যাফিলিয়েট বা অ্যাডসেন্স থেকে আয়ের সুযোগ থাকে। এছাড়া ঘরে বসে রিলাক্স মোডে কাজ করা ও তার মাধ্যমে আয় করার এটাই সুযোগ। শুধু মার্কেটপ্লেস নয় লোকাল মার্কেট থেকে প্রতিনিয়ত কাজ পাওয়ার বহু সম্ভাবনা রয়েছে এসইও এর ক্ষেত্রে।

যাদের জন্য উপযোগি
বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে অনেকেই বসে আছেন কাজের সন্ধানে, একটি চাকরির জন্য। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ঠ কাজ জানলে বসে থাকার কোনো কারণ নেই। আপনি যাই পারেন না কেনো, তাই অনলাইনে  করতে পারেন। সে সুযোগ রয়েছে। তবে যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারণ ধারণা আছে, ইংরেজিতে মোটামুটি পারদর্শী, ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা অতি সহজে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে পারেন এবং এটিকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নেই। অনপেজ অপটিমাইজেশনের জন্য নূণ্যতম কোডিং জ্ঞান থাকলেই হবে, যেটি আপনি প্রশিক্ষণ  বা অনলাইনের বিভিন্ন রিসোর্স থেকে জেনে নিতে বা শিখে নিতে পারবেন। তাই এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায়। প্রতিনিয়ত যেহেতু হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে তার জন্য এসইও করার প্রয়োজন হয়। এজন্য আগামীতেও এসইও কাজের প্রভাব থাকবে। অর্থ্যাৎ এসইও শিখলে আপনাকে  বসে থাকতে বা বেকার থাকতে হবে না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এই কাজে নিয়োজিত আছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে এই নূণ্যতম দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে কাজ শেখার, পরিশ্রম করার ও প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে।

seo-search-engine-optimization-services-banner

কাজের ক্ষেত্র ও আয়
দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হতে পারবে কাজের ক্ষেত্রের অভাব নেই। প্রাথমিকভাবে একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার ওডেস্ক.কম, ফ্রিল্যান্সার.ডট, গুরু.ক, ইল্যান্স.ডটকম সহ অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করতে পারেন। এসব সাইটে প্রতিমুহুর্তে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের অসংখ্য কাজ যোগ হচ্ছে। ওডেস্ক.কম সাইটে দেখা গেছে প্রায় সবসময়ই সাইটটিতে ৭/৮ হাজারের অধিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটিতেও দুই হাজারের অধিক প্রজেক্ট রয়েছে। এগুলো ঘন্টাচুক্তিতে বা ফিক্সড প্রাইসে করা যায়।  এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে সম্ভব হলে লোকাল মার্কেটের কিছু কাজ করে নিজস্ব ব্র্যান্ডিং ভ্যালু বাড়ানো উচিত। এতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে। এছাড়া প্রথমদিকের কাজগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করে রেপুটেশন ভালো করতে পারলে বায়ার খুশি হবে। এরপর তারা প্রয়োজনে আপনাকেই খুঁজে কাজ দেবে। মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করতে পারলে আপনার আয়ের পরিমানও বাড়তে পারে। তাই যথাসম্ভভ ভালোভাবে কাজ করা উচিত।

আর হ্যাঁ, কাজ জানলে যেহেতু কাজের অভাব নেই তাই এই পেশায় চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজন শুধু নিজেকে আপডেট রাখা। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের যে কাজগুলো পাওয়া যায় তার মধ্যে কোনো সাইটকে গুগলের ১ নম্বর র‌্যাংকিং এ আনা, ফোরাম পোস্টিং, লিংক বিল্ডিং, সাইটের অনপেজ অপটিমাইজেশন, বুকমার্কিং সহ বিভিন্ন কাজ। একটি সাইটকে গুগলের প্রথম পেজে আনতে সাইটের কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে সাধারণত ২০০ থেকে ১০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়। এছাড়া অন্যান্য কাজগুলো করে ঘন্টায় নূর্ণতম ২ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। এছাড়া ফিক্সড প্রাইসে ফোরাম পোস্টিং, লিংক বিল্ডিং, ব্যাক লিংক বা বুকমার্কি করে ১০ ডলার থেকে শুরু করে ২০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। তবে এখানে মূলত আপনার কত সময় লাগবে এবং কোন কিওয়ার্ডের উপর কাজ করতে হবে সেটির উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজের মাসে অনায়াসেই ২০/৩০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারেন।

প্রয়োজনে নিতে হবে প্রশিক্ষণ
ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে এসইও’র সঙ্গে আয়ের একটি বিশাল ক্ষেত্র জড়িত। যথাযোগ্য যোগ্যতা থাকলে সফল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হওয়ার সোপানে পা বাড়াতে পারেন। তবে পেশা হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে বেছে নিলে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে ভালোভাবে দক্ষ হতে হবে। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হাতে-কলমে শিখতে হবে। সবথেকে বড় কথা হলো কোনো কাজ ভালোভাবে না শিখে কাজ করতে মাঠে নেমে যাওয়া উচিত নয়। তাহলে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে  কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে যোগ্য হতে হবে। অযথা কোনো কাজে বিড করলে আপনার রেপুটেশন খারাপ  হয়ে যাবে। আর একবার রেপুটেশন খারাপ হয়ে গেলে আপনি যতই ভালো কাজ জানেন না কেনো কাজ পেতে কঠিন হয়ে যাবে। আর যদি ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখে কাজ করতে নামেন, তাহলে সহজেই সফলতার মুখ দেখতে পাবেন। আপনার রেপুটেশন ভালো হয়ে গেলে আপনি আন্তর্জাতিক ও লোকাল মার্কেটের রেগুলার ক্লায়েন্ট পেয়ে যেতে পারেন, যারা আপনাকে মার্কেটপ্লেসের বাইরের খুঁজে খুঁজে কাজ দেবে। তাই আবারো বলতে হয়, আগে কাজ শিখুন তারপর মাঠে নামুন। আর আপনি কাজ জানলে আয় হবেই। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি  প্রতিষ্ঠান সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে।

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Followers